সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সহ-অধিনায়ক হয়েও একাদশ থেকে বাদ পড়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রাথমিক দলেও জায়গা পাননি এই টাইগার অলরাউন্ডার। ফলে আসন্ন বিশ্বকাপের বিমানে উঠতে পারবেন না মিরাজ, এটা অনেকটাই নিশ্চিত। তবে এই বাদ পড়াকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন মিরাজ।
সময়গুলোকে ব্যবহার করে দ্রুত টি-টোয়েন্টি দলে ফিরবেন বলে বিশ্বাস এই ডান হাতি অলরাউন্ডারের। সেই সঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বেশি দিন দেরি নেই, আপনারাই নিউজ করবেন, মিরাজ আবারও ফিরেছে। এদিকে মিরাজের পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসা শেখ মাহেদী হাসান টি-টোয়েন্টিতে দলের নিয়মিত মুখ হয়ে উঠেছেন।
পাওয়ার প্লে কিংবা ইনিংসের মাঝে তার কার্যকরী অফ স্পিন আর যেকোনো পজিশনে ঝড় তোলার সহজাত বৈশিষ্ট্য আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিক হতে সহায়তা করেছে শেখ মাহেদীকে। বাংলাদেশ দল এখন পেয়ে গেছে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকেও। ব্যাটিং অর্ডারের নিচের দিকে ঝড় তুলতে পারেন তিনি।
আর অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান তো আছেনই। দলে এত স্পিনিং অলরাউন্ডার সতীর্থদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মিরাজ একটু নয়, বেশ পিছিয়ে পড়েছেন। টেস্ট আর ওয়ানডে ক্রিকেটে জাতীয় দলে অপরিহার্য মিরাজ কেন টি-টোয়েন্টিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারলেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে মিরাজ বলেন, চ্যালেঞ্জ আর পারফর্ম করা আলাদা বিষয়। টি-টোয়েন্টিতে আমি বাদ পড়ার আগেও পারফর্ম করেছি। পরিসংখ্যান দেখুন, বাদ পড়ার পাঁচ ম্যাচ আগেও ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছি।
এদিকে আগামী দুই মাসে বাংলাদেশের ব্যস্ততা শুধু টি-টোয়েন্টিতে। তাই একটা লম্বা বিরতি পাচ্ছেন মিরাজ। তবে এই বিরতিটা দেখছেন ইতিবাচক দৃষ্টিতেই, ‘আমার জন্য ভালো হয়েছে। ভালো একটা বিশ্রাম পেলাম। ওয়ানডে ও টেস্টের জন্য আরও ভালোভাবে তৈরি হতে পারবো।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে না পারলে মন খারাপ হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সমস্যা নেই। আমি এটা নিয়ে কিছুই ভাবছি না। আমার জন্য ভালো হয়েছে। এই যে এত মাত্রায় খেলা। খেলতে খেলতে মাথা হ্যাং হয়ে যায়! ভালো একটা বিশ্রাম পেলাম। ওয়ানডে ও টেস্টের জন্য আরও ভালোভাবে তৈরি হতে পারব।’